পরিত্যক্ত নালার ওপর দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল
দৃষ্টিনন্দন রাজশাহী কলেজ
রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসের কলা ভবনের পশ্চিমাঞ্চল ছিল পরিত্যক্ত। ঝোপ-জঙ্গলে পূর্ণ নালা ঠেকেছে কলেজ মসজিদের পশ্চিম পাশের প্রধান সড়কে। এতোদিন জায়গাটি বেশ অরক্ষিত ছিল। সেটি আর আগের অবস্থায় থাকছে না।
কলা ভবন সংলগ্ন নালার ওপর গড়ে ওঠছে দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল। আর মসজিদের পশ্চিমাংশে গড়ে ওঠছে ফুলবাগান। কলা ভবনের সামনের দিকটায় শিক্ষার্থীদের বসার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। কলেজের অন্যান্য চত্বরের মতই শিক্ষার্থীদের আড্ডাস্থল হয়ে ওঠবে এই এলাকাটি।
বিজ্ঞাপন
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, করোনা মহামারি কেটে গেলেই খুলবে কলেজ। তখন শিক্ষার্থীরা পাবে এক নতুন কলেজ। ছোট ছোট বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। শ্রেণিকক্ষ থেকে আঙিনা-কোন কিছুই বাদ পড়েনি। সুন্দর পরিবেশে বিদ্যাচর্চা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের এই চেষ্টা।
দেশের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে উত্তরের এই কলেজটি এখনও দেশের একমাত্র মডেল কলেজ। আর এর পেছনের কারিগর কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে ম্যুরাল নির্মাণের স্থানেই পাওয়া গেল অধ্যক্ষকে। দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিকদের কাজ তদারকি করছেন তিনি। জানতে চাইলে প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেন, কলেজের এই অংশটি অব্যবহৃত পড়েছিল দীর্ঘদিন। যেখানে কখনও শিক্ষার্থীদের পায়ের ছাপ পড়েনি। শিক্ষার্থীদের অবাধ বিচরণের জন্য সেখানে চত্বর নির্মাণ হচ্ছে।
নির্মল আড্ডা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠবে এটি। প্রায় ৪-৫ বিঘা এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই অব্যবহৃত পড়েছিল। সেখানে রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যের আলোকে নান্দনিকভাবে সাজানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৯ ফুট উচ্চতা এবং ৫০ ফুট প্রস্থের একটি ম্যুরাল হচ্ছে এখানে। ‘৪৭ এর দেশ ভাগ থেকে শুরু করে বাহান্নের ভাষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ‘৬৯ এর গণআন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকারের শপথ, একাত্তরের মহান মুক্তিযুক্ত এবং ‘৭৫ এর ট্রাজেডি ফুটে উঠবে টেরা কোটায়।
পাঠ্য বইয়ের বাইরে শিক্ষার্থীরা এই টেরাকোটায় বাঙালির ইতিহাস জানতে পারবে। শিক্ষার্থীদের পাখির মত মুখস্ত করতে হবে না। আমরা এমন শিক্ষার্থী চাই-যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় হয়ে উঠবে।
এসপি