জন্মদাতা বাবার সঙ্গে তানিয়া আক্তার

প্রায় ১৮ বছর আগের কথা। ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন তানিয়া আক্তার। পরিবারের সদস্যরাও কোথাও খোঁজ পাননি তার। মেয়েকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা এতটা বছর কুরে কুরে খাচ্ছিল বাবা সুন্দর আলী সিকদারকে। অবশেষে ফেসবুকের কল্যাণে সন্ধান মিলেছে তানিয়ার।

প্রায় ১৮ বছর আগে তানিয়াকে নিয়ে ঢাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান সুন্দর আলী। তখন তানিয়ার বয়স ছিল ৬ বছর। তাকে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়ি চলে যান সুন্দর আলী। পরে তিনি জানতে পারেন, তার পিছু পিছু তানিয়াও সেদিন বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেখান থেকেই হয়ে যান নিখোঁজ। সবাই অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তানিয়ার কোনো সন্ধান পাননি।

রোববার (১০ জানুয়ারি) নিজ পরিবারকে ফিরে পেয়েছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তরুণী তানিয়া আক্তার। এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর এলাকায় বসবাস করা মেয়ে তানিয়াকে নিতে আসেন বাবা সুন্দর আলী সিকদারসহ পরিবারের সদস্যরা।

দীর্ঘদিন পর মেয়েকে পেয়ে আবেগাপ্লুত সুন্দর আলী সিকদার জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে তানিয়াকে নিয়ে ঢাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান সুন্দর আলী। তখন তানিয়ার বয়স ছিল ৬ বছর। তাকে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়ি চলে যান সুন্দর আলী। পরে তিনি জানতে পারেন, তার পিছু পিছু তানিয়াও সেদিন বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেখান থেকেই হয়ে যান নিখোঁজ। সবাই অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তানিয়ার কোনো সন্ধান পাননি।

এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়েছিল বহুবার। কিন্তু কিছুদিন আগে ফেসবুকে তানিয়ার ছবিসহ হারিয়ে যাওয়ার সংবাদ দেখে তার খোঁজ পায় তার পরিবার।

আমি আমার বাবাকে হারিয়ে ফেলার পর আমাকে রিপন বাবা লালন-পালন করেছেন। আমি পরিবারকে খুঁজে পেতে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। এখন আমি আমার পরিবারকে ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত।

তানিয়া আক্তার

সুন্দর আলী আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার রাইতলা গ্রামের রিপন মিয়া আমার মেয়েকে লালন-পালন করেছেন এবং ভালো পাত্র দেখে বিয়ে দিয়েছেন। বাবা হিসেবে আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

এ বিষয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, আমি আমার বাবাকে হারিয়ে ফেলার পর আমাকে রিপন বাবা লালন-পালন করেছেন। আমি পরিবারকে খুঁজে পেতে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। এখন আমি আমার পরিবারকে ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত।

এনএ