শাহমখদুম মেডিকেলের বিরুদ্ধে সনদ আটকে রাখার অভিযোগ
ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা
রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে এবার সনদ আটকে রাখার অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে রোববার (১০ জানুয়ারি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ভর্তির সময় শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ তাদের এসএসসি এবং এইচএসসির সনদ এবং নম্বরপত্র জমা নিয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
মাইগ্রেশন করে এরই মধ্যে ২০৩ জন শিক্ষার্থী অন্য মেডিকেল কলেজে চলে গেছেন। তারপরও শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জমা নেওয়া সনদ-নম্বরপত্র ফেরত দিচ্ছে না। ফলে নতুন কলেজে এগুলো তারা জমা দিতে পারেননি।
প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে একটি রিট করে। এতে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার দাবি জানানো হয়। আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে মাইগ্রেশন করে ফেলেছেন, তাদের সনদ ও নম্বরপত্র ফেরত দিতে হবে। আমরা ২০৩ জন ইতিমধ্যে অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আমাদের কাগজপত্র ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করায়। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণলয় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে দিতে বলা হয়।
এরপর প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে একটি রিট করে। এতে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার দাবি জানানো হয়। আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে মাইগ্রেশন করে ফেলেছেন, তাদের সনদ ও নম্বরপত্র ফেরত দিতে হবে।
রাজশাহীর এই বেসরকারি মেডিকেল কলেজটির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরাতে নানা কায়দায় নিপীড়ন চালিয়ে আসছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে একটি রিট করে। এতে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার দাবি জানানো হয়। আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে মাইগ্রেশন করে ফেলেছেন, তাদের সনদ ও নম্বরপত্র ফেরত দিতে হবে। আমরা ২০৩ জন ইতিমধ্যে অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আমাদের কাগজপত্র ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে শাহমখদুম মেডিকেল কলেজে গেলে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এনএ