ফয়সালের দুটি কিডনিই বিকল
শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফয়সাল সিকদার
স্বপ্ন ছিল বড় আইনজীবী হবেন। সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বাইতে শুরু করেছিলেন মাত্র। আইন বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে আদালতে প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হতে বসেছে। তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার হীরাপুর গ্রামের ফয়সাল সিকদার।
২ জানুয়ারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। তিনি এখন ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি (নেফ্রোলজি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এম এ সামাদের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার কিডনি ডায়ালাইসিস চিকিৎসা চলছে।
বিজ্ঞাপন
দাম্পত্য জীবনে ফয়সাল দুই সন্তানের জনক। স্ত্রী-সন্তান আর বাবা-মাকে নিয়ে সুখের স্বপ্ন ছিল ফয়সালের। কিন্তু সুখ তার কাছ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে। তাই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফয়সালের দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। তাঁকের বাঁচানোর জন্য দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।
ফয়সালের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চার ভাই-বোনের মধ্যে ফয়সাল মেজ। বাবা হুমায়ূন কবির সিকদার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেন। বাবাকে দেখেই আইন পেশার প্রতি আগ্রহ জন্মায় ফয়সালের। সে জন্য পড়ালেখা করেছেন আইন বিষয়ে।
বিজ্ঞাপন
ফয়সাল অনেক বড় আইনজীবী হবে বলে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ফয়সালকে কিডনি দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার রক্তের গ্রুপ ‘ও পজিটিভ’। যদি কেউ তাকে কিডনি দেন, তাহলে তাকে উপযুক্ত সম্মানী দেওয়া হবে।
হুমায়ূন কবির সিকদার
২০১৬ সালে এলএলবি পাস করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন ফয়সাল। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছর পর যমজ সন্তানের বাবা হন তিনি। ২০২০ সালের শেষ দিকে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২ জানুয়ারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। তিনি এখন ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি (নেফ্রোলজি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এম এ সামাদের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তার কিডনি ডায়ালাইসিস চিকিৎসা চলছে।
ফয়সালের বাবা হুমায়ূন কবির সিকদার জানান, সন্তান অনেক বড় আইনজীবী হবে বলে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ফয়সালকে কিডনি দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়াও যাচ্ছে না। তার রক্তের গ্রুপ ‘ও পজিটিভ’। যদি কেউ কিডনি দেন, তাহলে তাকে উপযুক্ত সম্মানী দেওয়া হবে।
ফয়সালকে কিডনি দেওয়ার জন্য আগ্রহী কিডনিদাতাদের ০১৬৮২৩৩১১৬১ এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন ফয়সালের বাবা।
এনএ