পঞ্চগড় জেলা কারাগার

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ছোটদাপ এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে কলেজছাত্র ফাহিদ হাসান সিফাতকে (১৮) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মুক্তিপণ চেয়ে না পেয়ে সিফাতকে হত্যা করা হয়।

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) রাতে সিফাতের বাবা শফিকুল ইসলাম আটোয়ারী থানায় বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আসামিরা ১৬৫ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তারা। 

জবানবন্দি শেষে আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম মাহবুব ইসলাম তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন- একই এলাকার মতিউর রহমান মতি, তার বাবা মকলেছুর রহমান, মা নয়না বেগম ও মতিউরের চাচাতো ভাই লিমন। সিফাতকে অপহরণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আটোয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপেন রায় বলেন, মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে নিহত সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের লোকজন তার মরদেহ দাফন করেছেন।

সিফাতের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, আমার বুক খালি করেছে; আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমার ছেলেকে অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল তারা। না পেয়ে তাকে হত্যা করেছে।

নিখোঁজের পাঁচদিন শনিবার আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ছোটদাপ এলাকার ধানক্ষেত থেকে মাটি খুঁড়ে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে র‌্যাব রংপুর-১৩। মুক্তিপণ না পেয়ে সিফাতকে হত্যা করেছেন একই এলাকার মতিউর রহমান মতি ও তার পরিবার- এমন অভিযোগ সিফাতের বাবার।

এএম