করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এবারও দেশের ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৪তম জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈদ উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।

ডিসি শামীম আলম বলেন, বৃহস্পতিবার অনলাইনে ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়। সেখানে সদস্যরা সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। সে অনুযায়ী খোলা জায়গায় ঈদের বড় জামাত আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, তাই শোলাকিয়াতে এবারও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। এছাড়া জেলার কোথাও খালি মাঠে বা উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত না করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।⁠

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। অনলাইন মিটিংয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ কার্যকরী কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।ৎ

এতে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান, মাঠ কমিটির সম্পাদক ও সদর ইউএনও আবদুর কাদির মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ প্রমুখ।

গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বছরেও এ ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।

দেশে করোনার কারণে এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় ঈদুল আজহার জামাত আদায় করবে কি না সে বিষয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে সিন্ধান্ত নিতে বলা হয়। একই সঙ্গে জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

মোহাম্মদ শামীম আলম ঢাকা পোস্টকে আরও বলেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাত করা হবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে ঈদ জামাতের বিষয়ে যে ১৮টি শর্ত দিয়েছেন, তা মেনে জেলার প্রতিটি মসজিদে একাধিক ঈদুল আজহার জামাত করতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীতীরে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দানে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের তিন লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেন। একসময় এ ঈদগাহ ময়দানটি দেশ এমনকি উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাতের খ্যাতি অর্জন করে।

এসকে রাসেল/এমএসআর