তিস্তার পানি ফের বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে
এক সাপ্তাহের আবারও উজানের পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বর্ষণে ফের লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৮টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানায়, ৮ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার। সেটি কমে গিয়ে ফের তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। অনেকের ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আলম বলেন, কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধার ১০ ইউনিয়ন তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের তালিকা করে ত্রাণ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সন্ধ্যা থেকে উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমএসআর