মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় পাওয়া শিশু সোলাইমান পুলিশের সহায়তায় খুঁজে পেয়েছে তার বাবা-মাকে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই শিশুর বাবা তাকে গজারিয়া থানা থেকে এসে নিয়ে গেছেন।

সোলাইমান নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় তার মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করে এবং ওই এলাকার মিজবাহ মিল্লাত মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোলাইমানকে পাওয়া যায়।

সোলাইমান জানায়, মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে রিকশাযোগে ট্রেন স্টেশনে এসে বাসযোগে চিটাগাং রোডে আসে সে। পরে সেখান থেকে ফের বাসে উঠে গজারিয়ায় চলে আসে।

শিশুটিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পেয়ে সেখানের লোকজন থানায় দিয়ে গেলে আমরা তার বাবার সন্ধান করে তার কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দিয়েছি।

রইছ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইন উদ্দিন বলেন, সোলাইমানকে গত সোমবার সন্ধ্যায় ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘুরতে দেখেন ভিটিকান্দি এলাকার রাফিয়া নামের এক নারী। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসেন তিনি। তখন সোলাইমান জানায়, একটি বাসে করে চিটাগাং রোড থেকে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে এসেছে। তার বাবার নাম মো. কাইয়ুম। পেশায় একজন কৃষক। মা মুক্তা বেগম একজন গৃহিণী। সে মিজবাহ মিল্লাত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এর বেশি কোনো পরিচয় দিতে পারছিল না সে। পরে আমরা ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে অধ্যক্ষ ও সোলাইমানের বাবা এসে সন্ধ্যায় সোলাইমানকে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন জানান, শিশুটিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পেয়ে সেখানের লোকজন থানায় দিয়ে গেলে আমরা তার বাবার সন্ধান করে তার কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দিয়েছি।

এনএ