পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশহস্তান্তর করে পুলিশ

রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি এলাকায় পাথরবোঝাই ট্রাক খালে পড়ে নিহত তিনজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় পর থেকেই বিচ্ছিন্ন রয়েছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ। এতে করে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

এদিন সকাল থেকেই অনেকেই সড়কে বিপত্তি ঘটায় গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে জেলা শহরে ফিরে এসেছেন। স্থানীয়রা বাঁশের ভেলা তৈরি করে যাতায়াত করছেন। কুতুকছড়ি বেইলি সেতুর একদিকে রাঙামাটি সদর উপজেলা ও অন্যদিকে রাঙামাটির নানিয়ারচর অবস্থিত। এই সেতুটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তীস্থল। এটিই রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার একমাত্র সড়ক পথ।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি এলাকায় পাথরবোঝাই একটি ট্রাক খালে পড়ে তিনজন নিহত হয়। নিহতরা হলেন- ট্রাক চালক আরাফাত (৩৫), ট্রাকের সহকারী (হেলপার) বাচ্চু (২৩) ও পাথরের গাড়ির চালানদার জহিরুল ইসলাম (৫০)। তারা তিনজনই চট্টগ্রামের মাঝির ঘাট এলাকা থেকে পাথর নিয়ে রাঙামাটির নানিয়ারচরে যাচ্ছিলেন। দুপুরে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, পাথরবোঝাই ট্রাকটি চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির মানিকছড়ি-কুতুকছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ঘটনায় নিহত তিনজনের মৃতদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহে আরেফিন বলেন, বেইলি সেতুটি ১৯৯২ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। ট্রাকটিতে ওভারলোডেড পাথরবোঝাইয়ের কারণে সেতুটি ভেঙে গেছে। যেহেতু সেতুর ফাউন্ডেশনের কোনো ক্ষতি হয়নি; সেহেতু পুরোনো পাটাতন খুলে আবার নতুন করে বসাতে হবে। ৬৪ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি মেরামত করতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

এদিকে ঘটনার পরপরই রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।