ফাইল ছবি

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫৯ জন। এ নিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্ত রোগী ৪৭ হাজার ৬৭৮ জনে পৌঁছেছে। নতুন ১০ জন নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪ জনে।

শনিবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (০৬ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (০৭ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের চারজন, দিনাজপুরের দুইজন, ঠাকুরগাঁওয়ের দুইজন, নীলফামারীর একজন ও গাইবান্ধার একজন রয়েছেন। এ নিয়ে আগস্টের সাত দিনে বিভাগে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবারের তুলনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্ত কমেছে।

এ সময়ে বিভাগে ৮৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দিনাজপুরের ৬৪ জন, রংপুরের ৪০ জন, গাইবান্ধার ১৮ জন, কুড়িগ্রামের ১৩ জন, নীলফামারীর ১১ জন, লালমনিরহাটের ১০ জন, পঞ্চগড়ের ২ জন ও ঠাকুরগাঁওয়ের ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ১৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া ‌১০ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ‌‌১৪ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ২৮৮ জন, রংপুরের ২৩০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৯৬ জন, নীলফামারীর ৭২ জন, পঞ্চগড়ের ৬৩ জন, লালমনিরহাটের ৫৭ জন, কুড়িগ্রামের ৫৬ জন ও গাইবান্ধার ৫২ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৮৩ জন।

বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৬৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ২৫৪ জন, রংপুরে ১০ হাজার ৬৬৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৪৪১ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ৯৩ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৮৮৯ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৯৩৩ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৩৭৭ জন এবং পঞ্চগড়ের ৩ হাজার ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। 

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়ায় রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতি দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর