সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুইজনই কুষ্টিয়া থেকে পালিয়ে আশুলিয়ায় এসে একটি ছোট কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন। বুধবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুতের ডেন্ডাবর এলাকার আলমগীরের বাসার একটি ছোট কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার মনোহরপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে টুটুল (২৭) ও একই জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার চররাধানগর গ্রামের বাদল আলীর মেয়ে মারিয়া খাতুন (১৫)। টুটুলের গ্রামে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, গত ২২ জুন মারিয়া নিখোঁজ হয়। পরে ২৪ জুন মারিয়ার পরিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অভিযোগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তারা বাসা থেকে পালিয়ে গত ১৯ জুলাই আশুলিয়ার ওই এলাকায় টুটুলের চাচাতো বোনের কাছে আসেন। পরে ডেন্ডাবর এলাকার আলমগীরের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি টুটুল ও মারিয়া তাদের এলাকা থেকে পালিয়ে এসে এখানে বসবাস শুরু করেন। ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মাহিদুল মাহিদ/আরএআর