পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

পটুয়াখালীতে অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন স্বামীও। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন নাদিয়া আক্তার কলি (২০) ও তার স্বামী মোস্তফা আকন (২৭)। গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম বাঁশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এই দম্পতি।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাদিয়াকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। 

এরপর স্ত্রীর জন্য হাসপাতালের সামনে ওষুধ কিনতে যান স্বামী মোস্তফা আকন। সকাল ৮-১০ মিনিটে নাদিয়া মারা যান। এ খবর স্বামী মোস্তফা আকনকে জানানো হয়। তখন ফার্মেসিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তফা আকন। তাকে দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত নার্স সোলায়মান বলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর কিছুক্ষণ পরই স্বামীর মৃত্যু হয়। তাদের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।

নাদিয়া আক্তার কলির বোনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বুধবার রাতে আমার খালা অসুস্থ হন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক কিছু ওষুধ দিলে তা হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিতে কিনতে যান খালু মোস্তফা আকন। এ সময় মোবাইলে খালার মৃত্যুর খবর খালুকে জানানো হয়। খবর শুনে সেখানেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে মোস্তফা আকনের সঙ্গে পটুয়াখালী জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় মৃত মকবুল হোসেনের মেয়ে নাদিয়ার বিয়ে হয়।

মোস্তফা শহরের ফজিলাতুননেছা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে খণ্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ৬ জানুয়ারি পটুয়াখালী শহরের মায়া ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নাদিয়ার ছেলের জন্ম হয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে জানাজা শেষে ওই দম্পতিকে গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন নাদিয়া আক্তার কলির বোনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।

এএম