শীতে কাবু কুড়িগ্রাম
ঘন কুয়াশায় ব্যাকলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন
কুড়িগ্রামে কয়েকদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন-কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা।
হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে চরম কষ্টে ভুগছে দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাগেশ্বরী পৌর শহরের আব্দুল রহিম ও জাবেদ আলী বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি কুয়াশা পড়েছে। ঠান্ডার কারণে বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। ভোট দিতে যাবো তাই বের হয়েছি আমরা।
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শীতার্তদের জন্য জেলার ৯টি উপজেলায় ৫০ হাজার কম্বল ও ৫৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনটি পৌরসভায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আমরা আরও কম্বলের জন্য আবেদন করেছি।
এসপি