কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ও আহতদের নাম পাওয়া তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামের কচুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কচুবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে বৈদ্যুতিক মোটর (সেচ যন্ত্র) চুরি করার অভিযোগে ভেড়ামারা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ফারাকপুর মহল্লার সামছুলের ছেলে স্বপনকে (২২) আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাকে বেধড়ক মারধরের খবর পেয়ে আমলা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এস আই হাফিজুর রহমান, এএসআই কামরুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা। এতে তিন জন পুলিশ আহত হন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। চুরির অভিযোগ ওঠা স্বপনকেও আটক করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, বৈদ্যুতিক মোটর চোরকে এলাকাবাসী মারধর করছিল। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় কয়েকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। চোর ও হামলাকারীদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কচুবাড়িয়া গ্রামের মাঠ থেকে মোটর চুরির সময় স্থানীয়রা ধরে ফেলে ভেড়ামারা এলাকার এক চোরকে। স্থানীয়রা ওই চোরকে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের ঝামেলা হয়েছে। এরই জের ধরে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বারসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানতে চাইলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, কচুবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয়রা এক মোটর চোরকে ধরে মারধর করে। সেই খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তারা ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপরে হামলা হয়। এতে তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।

রাজু আহমেদ/এসএসএইচ