মাঝপদ্মায় আটকে আছে ৬ ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে পদ্মায় কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যায়। রাত ১০টার দিকে ফেরির দিকনির্দেশনামূলক বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে পাড়ে ভিড়তে না পেরে মাঝনদীতে আটকা পড়েছে ছয়টি ফেরি।
এদিকে, বেশ কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর পদ্মায় ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। যার কারণে প্রতি রাতেই এ নৌরুট পারাপারে আসা যানবাহন ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। মাঘের কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নদীপথ পারাপারে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে এমন ভোগান্তি নতুন নয় বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলছে, এ নৌরুট পারাপারে ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন নারী ও শিশুরা।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নদী তীরবর্তী এলাকায় কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে থাকে। পরে রাত ১০টার দিকে ঘন কুয়াশায় ফেরির দিক-নির্দেশনামূলক বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাঝ নদীতে ছোট বড় মিলে ছয়টি ফেরি নোঙর করে। যার কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় সাড়ে ৩শ সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক, ৩০টির মতো পরিবহন বাস নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও বাস-ট্রাক চালকসহ শ্রমিকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এসপি