স্থানীয় নির্বাচনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব-পুলিশই যথেষ্ট
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে মাগুরায় সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। একটা অনাকাঙিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই মাগুরার এই ঘটনা অত্যন্ত বিব্রতকর। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। বিশেষ করে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিনা তা নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে মানিকগঞ্জ সার্কিট হাউসে সদর ও সিংগাইর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে কোথাও কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকলে স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি মোতায়েন করা যেতে পারে। নির্বাচনে বেশি ফোর্স (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) বাড়ানো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা না আসা এটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা নির্বাচনে আসার জন্য তাদের আহ্বান করতে পারি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের চেয়ে প্রার্থী জনপ্রিয়তাই মুখ্য বিষয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করলেও তাদেরকে আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে জানা যাবে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে।
স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, দলীয় প্রতীকেই যে সবাই নির্বাচিত হয়ে যান তা কিন্তু নয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও জয়ী হয়ে যান। এটা জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভর করে। দলীয় প্রতীকের বাইরেও প্রার্থীর ব্যক্তিগত পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তার ওপর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ভর করে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, নির্বাচন কর্মকর্তা (ঢাকা অঞ্চল) মাসুদা আক্তার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সানোয়ারুল হক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ হাবিবুর রহমানসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
সোহেল হোসেন/আরএআর