পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খানের হস্তক্ষেপে বন্দিজীবন থেকে রক্ষা পেল দুই শতাধিক দেশীয় প্রজাতির পাখি। সোমবার (২৫ অক্টোবর) জেলার সুজানগর থানা চত্বরে পুলিশ সুপার উপস্থিত থেকে পাখিগুলো মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেন। এ সময় পাখি শিকারের দায়ে আটক তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

আটকরা হলেন- চর দুলাই বিলপাড়া গ্রামের  জহির মিয়ার ছেলে আতোয়ার শেখ (২৩),  আলাউদ্দিন হোসেন (২৭), ঘোড়াদহ গ্রামের তফিজ মণ্ডলের ছেলে মোজাহার মন্ডল (৩০)।

সুজানগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চরদুলাই গ্রামে পাখি শিকার করা হচ্ছে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুলিশ সুপারকে এক ব্যক্তি মেসেজ পাঠান। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সকালে অভিযান পরিচালনা করে দুলাই চরপাড়া গ্রাম থেকে পাখিগুলো উদ্ধার ও অভিযুক্তদের আটক করে থানায় আনা হয়। এ সময় গাংচিল, রামচা, চ্যাগা, বক, মাছরাঙা ও ডাহুক জাতীয় বন্যপাখি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ সুপার এসে এগুলো অবমুক্ত করেন।   

সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এসপি স্যারের মেসেঞ্জারে তথ্য আসে চরদুলাই এলাকার বিল থেকে পাখি শিকার করে সকালে একই এলাকার হাটে বিক্রি হয়। পরে স্যারের নির্দেশনা পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক বন্যপাখি উদ্ধারসহ তিনজনকে আটক করি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পাখিগুলো শিকারিদের কাছ থেকে অল্পমূল্যে কিনে সেগুলো ব্যবসায়ীরা ঢাকায় বেশি দামে বিক্রি করেন। অনেকে বাড়িতে জবাই করে খাওয়ার জন্য এসব পাখি কিনে থাকেন। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই গ্রামের একজন আমাকে ফেসবুক মেসেঞ্জার বিষয়টি জানান। তারপর বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করি। পুলিশের টিম গিয়ে দ্রুত তাদের আটক করে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী সকল প্রকার দেশীয় পাখি ক্রয়-বিক্রয়, লালন-পালন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ফলে আটকদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দেশীয় পাখি শিকার ও বিক্রি বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। পুলিশ এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মানবিক কাজও করে যাচ্ছে। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর