গ্রেপ্তার দুই অপহরণকারী

জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে নিজে বাঁচলেন এবং আরেকজনকে বাঁচালেন মজিবর রহমান ফারাজী নামের এক ট্রাক ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে দুই অপহরণকারীকে ধরিয়ে দিলেন তিনি। 

মজিবর রহমান ফারাজীর বাড়ি বরগুনায়। তবে এ ঘটনায় আরও কয়েকজন অপহরণকারী পালিয়ে গেছেন। অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন মজিবর রহমান ফারাজী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়াগুদাম লেনের মজিবর রহমান সরকারের ছেলে সোহাগ সরকার (৩৬) এবং দুপচাচিয়া থানার আলতানগর মথুরাপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শাহীন (২৮)।

বগুড়া সদর থানা সূত্রে জানা যায়, বরগুনার ট্রাক ব্যবসায়ী মজিবর রহমান ফারাজী (৩৫) ও তার গাড়িচালক ঢাকা থেকে মালামাল নিয়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চারমাথা এলাকায় নামেন। 

ফিরতি পথে মজিবর রহমান তার আত্মীয় সবুজকে ফোন করেন। দুপুর ১২টার দিকে সবুজের সঙ্গে পালশা এলাকায় পারভেজের বাড়িতে যান। সেখানে সন্ধ্যার পর জিসান ও খলিল নামে দুই যুবক পারভেজের বাড়িতে আসেন। এসে পারভেজ ও অপর এক যুবক লেনদেনকে কেন্দ্র করে সুমনের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন।

একপর্যায়ে খলিল ট্রাক ব্যবসায়ীর পরিচয় জানতে চান। সবুজ তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। ওই সময় মজিবর রহমান, ড্রাইভার ইমরান, সবুজ, পারভেজ ও সুমনকে ডেকে মাঠে নিয়ে যান তারা। সেখানে অবস্থানরত সোহাগ সরকার ওই ট্রাকের ব্যবসায়ী, ড্রাইভার এবং সবুজকে মারপিট করতে থাকেন।

সেখান থেকে ট্রাকের ব্যবসায়ী মজিবর রহমান ফারাজী, ড্রাইভার ইমরান এবং সবুজকে তুলে নিয়ে যান। তুলে নিয়ে বেলালের ছাত্রাবাসে রাত ৮টার দিকে আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখান তাদের। এ সময় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। এ অবস্থায় কৌশলে মজিবর রহমান ফারাজী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। কল পেয়ে অভিযান চালিয়ে সোহাগ সরকার ও শাহীনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যান।

সদর থানার তদন্ত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোহাগ সরকার আট মামলার আসামি। আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে তার। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ট্রাক ব্যবসায়ী। 

এএম