‘খারাপ কাজ করব না, ভালো কাজ পাইলে একটাও ছাড়ব না’
বেলচা নিয়ে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করছেন কাউন্সিলর বিধান সাহা
ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে গেছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিধান সাহা। ১০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এমন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
নিজ ওয়ার্ড এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি নিজেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে নিজেও কাজে লেগে পড়েছেন তিনি। পরিষ্কার করছেন ১২ বছর ধরে ড্রেনে জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা। প্রতিদিনই চালিয়ে যাচ্ছেন তার কর্মযজ্ঞ।
বিজ্ঞাপন
খুব সকাল থেকেই বিধান সাহা শুরু করে দেন তার কর্মযজ্ঞ। নিজ হাতে বেলচা নিয়ে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করছেন তিনি। এ সময় তাকে সহযোগিতা করছেন ফরিদপুর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। সাপ্তাহিক ছুটি ও শীতের সকালেও বন্ধ হয়নি এই কার্যক্রম। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও কুয়াশা ভেদ করে চালিয়ে যাচ্ছেন কার্যক্রম।
খারাপ কাজ করব না, ভালো কাজ পাইলে একটাও ছাড়ব না। আমার লক্ষ্য ১৬ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড বানাব। এলাকাবাসী আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তাই এলাকার দায়িত্ব আমাকে নিতেই হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমি কাজ করে যাচ্ছি। অনেক জঞ্জাল, এগুলো কয়েক দিনে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, এই কার্যক্রম চলবে। শুধু সবার ভালোবাসা ও সার্বিক সহযোগিতা চাই।
বিধান সাহা, কাউন্সিলর
বিজ্ঞাপন
তার এমন কাজে পৌর এলাকার বাসিন্দা রাশেদ বলেন, ড্রেন ব্যবস্থা পরিষ্কার না থাকার কারণে এসব এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি দাঁড়িয়ে যেত। আশপাশের আগাছার কারণে মশার উপদ্রবও ছিল বেশ। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর বিধান দাদার পরিষ্কার কার্যক্রমের ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নেমে যাবে এবং মশার উপদ্রবও কমে যাবে।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুইজ্জুর রবি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছরের ময়লা বিধান সাহা নিজে যেভাবে পরিষ্কার করছেন, সত্যি আমরা ওয়ার্ডবাসী আনন্দিত। এমন একজন কাউন্সিলরই আমাদের দরকার ছিল। যিনি নিজ হাতে কাজ করছেন এবং কোনো সমস্যার কথা জানলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এর আগে কোনো দিন এমন দেখিনি।
আরেক বাসিন্দা রণদা প্রসাদ বিশ্বাস বলেন, কাউন্সিলর বিধান শুধু ড্রেন পরিষ্কারই করছেন না। ব্যতিক্রমী বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছেন তিনি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগে করোনা শুরুর পর্যায়ে প্রতিদিন শতাধিক দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রতিদিনই অসহায়দের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, শীতের শুরুতেই তিনি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছেন। যা বিতরণ এখনো চলমান রয়েছে। এর আগে কোনো কাউন্সিলর এমনভাবে কাজ করেননি। আমরা এ কারণেই ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছি।
কাউন্সিলর বিধান সাহা বলেন, খারাপ কাজ করব না, ভালো কাজ পাইলে একটাও ছাড়ব না। আমার লক্ষ্য ১৬ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড বানাব। এলাকাবাসী আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তাই এলাকার দায়িত্ব আমাকে নিতেই হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমি কাজ করে যাচ্ছি। অনেক জঞ্জাল, এগুলো কয়েক দিনে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, এই কার্যক্রম চলবে। শুধু সবার ভালোবাসা ও সার্বিক সহযোগিতা চাই।
বি কে সিকদার সজল/এনএ