সাজ্জাদ মীর

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল এসএসসি পরীক্ষার্থী। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও।

কনে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদ মীরের (৩২) বিয়ের দিন ধার্য ছিল শুক্রবার।

একজন শিক্ষক বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার বদলে নিজেই যখন বাল্যবিয়ে করছেন, এ কারণে তাকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

জেতী প্রু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

সাজ্জাদ মীর উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামের রাশেদ মীরের ছেলে। এ ছাড়া কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জানা যায়, কনের বাড়িতে বরপক্ষ চলে এসেছে। খাওয়াদাওয়া চলছে। এমন সময় কনের বাড়িতে হাজির হলেন ইউএনও। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেতী প্রু কনের বাড়িতে উপস্থিত এই বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় বর সাজ্জাদ মীরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক জেতী প্রু।

এ বিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেতী প্রু ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বর শিক্ষক সাজ্জাদ মীরকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া কনের বাবাকে জরিমানা করা হয়।

ইউএনও বলেন, একজন শিক্ষক বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভূমিকা রাখার বদলে নিজেই যখন বাল্যবিয়ে করছেন, এ কারণে তাকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।


বি কে সিকদার সজল/এনএ