সিলেটে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। যার প্রভাব পড়েছে মানুষের জনজীবনেও। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন যায়গায় খুব একটা কর্মচাঞ্চল্য চোখে পড়েনি। সরেজমিনে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, লামাবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র।

সিলেটে বৃষ্টি পড়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ, ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়। একটানা বৃষ্টির কারণে নগরের মানুষ আজ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আর যারা বের হয়েছেন তারাও কোনোমতে কাজ শেষ করে ঘরে ফিরছেন।

নগরীর বন্দরবাজারের রিকশাচালক রহম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল ৯টায় বের হয়েছি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ২৩৫ টাকা আয় করেছি। এখনও দুপুরের খাবার খাইনি। তার উপর রিকশার গ্যারেজের ভাড়া ও পরিবারের সদাইপাতি করতে হবে।

হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, আজ ব্যবসা একেবারেই মন্দা। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ডিসেম্বরে বৃষ্টি হলেও নিম্নচাপ কমে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত খুব একটা বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেড়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আজ সিলেটের গড় তাপমাত্রা ছিলো ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই বৃষ্টির কারণে শীতের প্রভাব বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ সাইদ বলেন, আগামী ১০ দিন শীত বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর সিলেটের অঞ্চলে জানুয়ারির আগে খুব একটা শীত পড়ে না।

এমএসআর