কক্সবাজারে সোমবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বেশ উত্তাল বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতও। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। কিন্তু তাতেও বসে নেই ভ্রমণে আসা লাখো পর্যটক। তারা কোমরপানিতে নেমে গোসল করছেন। দিচ্ছেন বালুচরে গড়াগড়ি।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, অসংখ্য পর্যটক সমুদ্রে দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন। কেউ কেউ টিউবে গা ভাসিয়ে চলে যাচ্ছেন গভীর সাগরের দিকে। সৈকতের সি-গাল, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টেও একই দৃশ্য। ট্যুরিস্ট পুলিশ নানা চেষ্টা করেও তাদের থামাতে পারছে না।

ঘটনাস্থলে ট্যুরিস্ট পুলিশের এক উপপরিদর্শক বলেন, পর্যটকদের সামলানো কঠিন। কেউ কারও কথা শুনছেন না। সাগর যে উত্তাল সেটা কারও কানে যায় না। তবুও আমরা সতর্ক। নিরাপত্তায় সৈকত ও পর্যটন স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে গোসলে নামা প্রসঙ্গে কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভুল হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে নামা ঠিক হয়নি।’

বিকাল চারটার দিকে অসংখ্য পর্যটকে ভরপুর ছিল সৈকতের পুরো চার কিলোমিটার এলাকা। তখনো কিছু পর্যটক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে গোসলে ব্যস্ত ছিলেন। তবে বেশিরভাগ পর্যটকই বালুচরে পায়চারি করেই সময় কাটান।

অনেকে পাশের ঝাউবাগানে গিয়ে আপনজনদের সঙ্গে আড্ডা-গল্পগুজবে সময় কাটান। ছবি তুলেছেন ইচ্ছেমতো, রোদ-বৃষ্টির সঙ্গে কালো মেঘে ঢাকা সাদা আকাশের সঙ্গে মিতালি করে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, মৌসুমের শুরু হাওয়ায় পর্যটকের আগমন শুরু হয়েছে। তবে এই মূহূর্তে সাগর উত্তাল হাওয়ায় সাগরে নামা ঠিক হচ্ছে না। এটি খুবিই ঝুঁকি।

এমএসআর