ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও গৃহকর্মী সাবিনা (ইনসেটে)

বাসায় অতিথি আসায় গৃহকর্মীকে বলা হয় নাস্তা তৈরি করতে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য নাস্তা তৈরিতে অপারগতা প্রকাশ করে গৃহকর্মী সাবিনা (১২)। এরপর অতিথি চলে গেলে সাবিনার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতন করেই তাকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ লাগেজে ভরে ফেলে আসা হয় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে।

গত বছরের ৯ নভেম্বর ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সড়কের পাশে লাগেজের ভেতর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের নেপথ্যের ঘটনা এটি। তিন মাসের মধ্যে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

সেখান থেকেই জানা গেল এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ ঘটনায় গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে পিবিআইয়ের ময়মনসিংহ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়েরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে এসব তথ্য জানানো হয়।

পিবিআইয়ের ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, গত ৯ নভেম্বর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুরে লাল লাগেজ থেকে উদ্ধার করা হয় এক নারীর মরদেহ। এ ঘটনার তদন্তে নামে পিবিআই। শনাক্ত হয় সদরের ঘাগড়া এলাকায় সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাবিনার মরদেহ এটি। সাবিনা গৃহকর্মীর কাজ করত ময়মনসিংহ শহরের তৈমুর এক্সেল টাওয়ারের ১৪তলায় ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়েরের বাসায়। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে নিজ বাসা থেকে ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী রিফাত জেসমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এএম