রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নির্বাচিত প্রার্থীর এক সমর্থকের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছেন পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছালাপাক গ্রামে নির্বাচন-পরবর্তী হামলার এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গজঘণ্টা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে তাজউদ্দিন আহমেদ (টিউবওয়েল প্রতীক) বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আশরাফুল আলম (মোরগ প্রতীক)। এই নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন গোলাম মোস্তফা ও তার ছেলে মোকছেদ আলী। পরাজিত প্রার্থী আশরাফুল আলম নিজের পরাজয়ের জন্য তাদের দায়ী করে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সকালে আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে তার কর্মী-সমর্থকরা সংঘবদ্ধভাবে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় গোলাম মোস্তফা, তার স্ত্রী শিউলি বেগম, ছেলে মোকছেদ আলী, মেয়ে রেবা আক্তার, লিজা বেগম ও পুত্রবধূ কাইফা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করেন তারা। এতে ওই পরিবারের ছয়জন গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, আশরাফুল নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার সমর্থক মোকছেদ আলীর হাতের আঙুল কেটে ফেলাসহ শিউলি বেগম, রেবা ও লিজার হাত ভেঙে দিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্বাচন-পরবর্তী এ ধরনের সহিংসতা বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী আশরাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার কর্মী-সমর্থকরাও ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরাজিত ও জয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ