মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ
প্রতীকী ছবি
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বান্ধবীর ছোট ভাইয়ের জন্মদিন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে এক কিশোরীকে (১৫) রাস্তা থেকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে, ওই কিশোরীর নানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কিশোরীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ধলঘাটপাড়া থেকে সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নে এক বান্ধবীর ছোট ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। বিকেল ৪টার দিকে ওই কিশোরী ধলঘাটপাড়ার একটি লন্ড্রির দোকানের সামনে পৌঁছালে তিনজন তাকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যান।
ওইদিন রাতে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাসের মধ্যেই কিশোরীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে তারা। এর পরদিন রাতে সেখান থেকে তারা ওই কিশোরীকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও কলেজ মাঠে নিয়ে আবার ধর্ষণ করেন। ৩০ জানুয়ারি ঈদগাঁও বাজারের একটি মার্কেটের দোতলায় আটকে রাখা হয় কিশোরীকে। সেখানে চারজন আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরীর চিৎকারে টহল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে। এরপর চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। এখন ওই কিশোরীকে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোন এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার সেফহোমে রাখা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে জাফর প্রকাশ খোরশেদ নামে একজনকে আটক করা হয়। মামলার পর আহাম্মদ উল্লাহ নামে আর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ড চাইবেন বলে জানান ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ঘটনাস্থলে কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/এসপি