বগুড়ায় অ্যালকোহল পানে পাঁচজনের মৃত্যু
অ্যালকোহল পানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একজন
বগুড়ায় অ্যালকোহল পানে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে দুই সহোদরসহ তিনজন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রোববার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বগুড়া শহরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শহরের কাটনারপাড়া হটুমিয়া লেন এলাকার চা বিক্রেতা সাজু মিয়া (৫০), বাবুর্চি মোজাহার (৬৫), ফুলবাড়ি এলাকার রিকশাচালক আব্দুল জলিল (৫৬), পুরান বগুড়া এলাকার সুমন রবিদাস (৩২) ও ফুলবাড়ি এলাকার পলাশ (৩৫)।
বিজ্ঞাপন
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- শহরের পুরান বগুড়া এলাকার দুই সহোদর প্রেমনাথ (৬০) ও রামনাথ (৫৫) এবং শহরের শিববাটি এলাকার হোটেল কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন রঞ্জু (৩৫)। প্রেমনাথ ও রামনাথ পেশায় মুচি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়া শহরের সুইপার কলোনী ও তিনমাথা রেলগেট এলাকার হোমিও দোকান থেকে তারা রোববার রাতে অ্যালকোহল কিনে পান করেন। শহরের কাটনারপাড়া এলাকার সাজু মিয়া রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে ও মোজাহার ভোররাতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিজ্ঞাপন
দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় পলাশ (৩৫)। অপরদিকে আব্দুল জলিল ভোররাতে ফুলবাড়িতে মারা গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পুরান বগুড়া এলাকার সুমন রবিদাসের পরিবার জানিয়েছে, সুমন অ্যালকোহলে আসক্ত ছিলেন। ভোররাতে দিকে তিনি মারা গেছেন।
বর্তমানে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিনজন। এদের মধ্যে রামনাথ জানান, প্রতিদিন তারা শহরের সুইপার কলোনী থেকে অ্যালকোহল কিনে খান। গতকাল রাতেও একইভাবে অ্যালকোহল কিনে দুইভাই খেয়েছেন। খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন তিনজন অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানের কারণে অসুস্থ হয়ে সকালের দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে হোটেল কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন রঞ্জুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, সাজু সুমন ও পলাশ অ্যালকোহলে আসক্ত ছিল, যা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট আসার পর মরদেহগুলো দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করছি। অ্যালকোহল পানে আরও কেউ মারা গেছেন কি-না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাখাওয়াত হোসেন জনি/আরএআর