বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের ভাষণ

মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাষণ প্রচার করে তোপের মুখে পড়েছেন রাজশাহীর তানোর সরকারি আবদুল করিম সরকার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ।

বুধবার সকালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পরিবর্তে মাইকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণ প্রচার হয়।

এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তবে এটি নিছক ভুলবশত হয়েছে বলে দাবি করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সকালে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ওই সময় কলেজের নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেমে বাজতে শুরু করে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাষণ।

বিষয়টি প্রথমে অধ্যক্ষ শিক্ষক কর্মচারীরা কেউই খেয়াল করেননি। তবে পাশের গোল্লপাড়া বাজারে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেই ভাষণ শুনে কলেজে ছুটে যান। পরে তারা সেই ভাষণ প্রচার বন্ধ করেন। 

কিভাবে এমন ভুল হলো জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ বলেন, মঙ্গলবার কলেজের পিয়ন আরিফ ও ফুলকুমারকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি মেমোরি কার্ডে তুলে আনতে স্থানীয় একটি মাইক সার্ভিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরিবর্তে জিয়াউর রহমানের ভাষণ দেয়া হয়। মেমোরি কার্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তোলা হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। বিজয় দিবসের কর্মসূচির শুরুতে ভাষণ বাজাতে গিয়ে এই বিভ্রাট হয়েছে। এটি ইচ্ছাকৃত নয়, ভুলক্রমে হয়েছে বলে অধ্যক্ষের দাবি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ আগে তানোরের তালোন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।  

২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে তাকে কলেজের উপাধ্যক্ষ করা হয়। কিছুদিন আগে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।  

এই ঘটনা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

এসপি