বিজয় দিবসে ময়মনসিংহবাসী পেল ‘জয় বাংলা চত্বর’
ময়মনসিংহের ‘জয় বাংলা চত্বর’
ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের কূল ঘেঁষা শম্ভুগঞ্জ সেতুর পাশে ৯ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ‘জয় বাংলা চত্বর’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতদিন জায়গাটি ছিল ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। যা এখন দৃষ্টিনন্দন একটি চত্বরে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ৪৯তম বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ‘জয় বাংলা চত্বর’ উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। মেয়রের পরিকল্পনায়ই চত্বরটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর।
বিজ্ঞাপন
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, জয় বাংলা চত্বরে ৩০ ফুট উঁচু অবকাঠামোর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। যা স্মরণ করিয়ে দেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের কথা। তার পেছনে থাকা সাতটি পাম গাছ বহন করছে সাত বীরশ্রেষ্ঠর স্মৃতি। আর ভাস্কর্যের সামনে ৯ ইঞ্চি করে রয়েছে ১৬টি পিলার। যা ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে প্রকাশ করেছে।
এছাড়াও এই চত্বরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করা আরও কিছু স্তম্ভ। যেগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে। এসব কারণে এর নাম দেয়া হয়েছে জয় বাংলা চত্বর।
বিজ্ঞাপন
চত্বরটির ডিজাইনার ও ভাস্কর অনুপম সরকার জনি জানান, বেদির দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে তুলে ধরার জন্য চত্বরে ফাইবার আর মার্বেল ডাস্ট দিয়ে ১৭টি শাপলা ফুল নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিকৃতির দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির ডান প্রান্তে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মরণীয় উক্তি, আর বাম পাশে জীবনী। চত্বরের বাম পাশে রয়েছে সাতটি সিঁড়ি। সিঁড়ি দিয়ে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বোঝানো হয়েছে। আর ডান পাশের ছয়টি সিঁড়ি দিয়ে ছয় দফা আন্দোলনকে বোঝানো হয়েছে।
তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িতে দিতেই চত্বরটি নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
তিনি বলেন, এই চত্বরের মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে
আরএআর