দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত। ফলে কনকনে শীতে জবুথবু অবস্থা জেলার সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষদের।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে নাজেহাল জেলার ৫ উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো পড়ছে শিশির বিন্দু। সঙ্গে কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ। কনকনে শীতে খেটে-খাওয়া মানুষরা কাজে যেতে পারছে না। অনেকে শীতবস্ত্রের অভাবে বাড়ির আঙ্গিনায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা হয় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা দেবনগর ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, গত কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত পরছে। শীতের দাপটে কাজে যেতে পারছি না। আমরা গরীব মানুষ, আমাদের কেউ শীতবস্ত্র দিয়েও সহযোগিতা করছে না।
বিজ্ঞাপন
একই কথা বলেন পঞ্চগড় শহরের রিকশা চালক হাসিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকাল থেকে বসে আছি।কনকনে শীতের কারণে মানুষ বাইরে তেমন বের হচ্ছে না। যাত্রী না পেয়ে বেকার সময় পার করছি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত একমাস ধরে এ জেলায় শীতের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। তবে এ জেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছে হওয়ায় প্রতিবছর এ জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকে এবং তাপমাত্রা সর্বনিম্ন থাকে। আজ তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এসপি