২০ হাড়ি রসের সঙ্গে ৪০ কেজি চিনি মিশিয়ে খেজুর গুড় তৈরি
খেজুর গাছ থেকে সংগৃহীত রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি
চিনি দিয়ে খেজুরের গুড় তৈরির দায়ে দুজনকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ধামধারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাদের জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন শিবালয় উপজেলার গুড় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন (৬০) এবং রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গৌরাঙ্গপুর গ্রামের গাছি মশগুল মিয়া (৪৮)।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানিকগঞ্জের খেজুরের গুড়ের বেশ সুনাম এবং চাহিদা রয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তি এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গাছিদের এনে খেজুর গাছ থেকে সংগৃহীত রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করছেন। সোমবার সকাল ৭টার দিকে শিবালয় উপজলার ধামধারা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই গ্রামের খেজুর গুড় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন এবং বাঘা উপজেলার গোরাঙ্গপুর গ্রামের গাছি মশগুল মিয়াসহ চারজন সহযোগীকে চুলায় রস জ্বাল দিতে দেখা যায়।
আসাদুজ্জামান রুমেল, সহকারী পরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ
বিজ্ঞাপন
সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ২০ হাড়ি রসের সঙ্গে ৪০ কেজি চিনি মিশিয়ে খেজুর গুড় তৈরি করার কথা স্বীকার করেন তারা। অপরাধ স্বীকার করায় এবং ভবিষ্যতে এই অপরাধ করবে না বলে অঙ্গীকার দেওয়ায় বিল্লাল হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা এবং মশগুল মিয়াকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর একই উপজেলার দরিকান্দি গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তারা রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেজুর গুড় তৈরির কথা স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে ভেজাল গুড় তৈরি করবেন না মর্মে অঙ্গীকার দেওয়ায় তিনজনকে সতর্ক করা হয়। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান।
অভিযানে সহায়তা করেন হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নজরুল ইসলাম ও কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জেলা শাখার সদস্য রফিকুল ইসলাম।
এএম