ডাক্তারের অসাবধানতার কারণে ডায়াথার্মি মেশিনে পুড়ল ছাত্রের পা

অল্পের জন্য জীবনে রক্ষা পেলেন জাহাঙ্গীর আলম (২৪) নামে এক কলেজছাত্র। নাকের পলিপাস অপারেশন করতে গিয়ে অজ্ঞান করার ডাক্তারের অসাবধানতার কারণে সার্জিক্যাল ডায়াথার্মি মেশিনে ছাত্রের পা পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।

সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাতে যশোরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। জাহাঙ্গীর আলম শার্শার ডিহি ইউনিয়নের টেংরালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ও যশোর সরকারি এমএম কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র।

জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তিনি নাকে পলিপাসের সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডা. এবিএম দেলোয়ার হোসেনকে দেখান। এ সময় ডা. দেলোয়ার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অপারেশনের পরামর্শ দেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সোমবার বিকেল ৪টার দিকে জাহাঙ্গীর ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরে ওইদিন রাতে ডা. দেলোয়ার হোসেন তার নাকে পলিপাসের অপারেশন করেন। এ সময় ডা. দেলোয়ারের সঙ্গে অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট তুহিন ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীরকে অজ্ঞান করার সময় সার্জিক্যাল ডায়াথার্মি মেশিন তার বাম পায়ে লাগান।

কিন্তু পাতলা মফের কারণে সার্জিক্যাল ডায়াথার্মি মেশিনের গরম ছ্যাঁকায় পায়ের মাংশ পুড়ে যায়। কিন্তু অপারেশন চলাকালে কেউ সেদিকে খেয়াল করেননি। পরে মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাহাঙ্গীর পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তিনি দেখেন সেখানে পুড়ে গেছে। বিষয়টি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানালে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে কর্তৃপক্ষ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে ও মোবাইল নম্বর চাইলে কোনো সহযোগিতা করেনি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। 

যশোর সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাহিদ হাসান/এমএসআর