দুর্ঘটনাকবলিত বাস ‘রবিন’

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের চাপায় একই পরিবারের দুই নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত এক নারীর শিশুসন্তানসহ আহত হয়েছেন দুজন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

এর আগে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ধামরাইয়ের বাথুলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন জাহানারা(৫৫) ও তার ছেলের স্ত্রী মরিয়ম (২০)। জাহানারা বেগম মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার সটুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। অন্যজন তার ছেলের স্ত্রী মরিয়ম। আহত ব্যক্তিরা হলেন একই পরিবারের শিশু আবু বক্কর ও ধামরাইয়ের বালিথা গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহিম (৫০)।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তিরা ওই এলাকার ফুটওভার ব্রিজের নিচে ফুটপাতের ফলের দোকানের সামনে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় নরসিংদী থেকে ছেড়ে আসা রবিন ক্লাসিক নামের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহানারা মারা যান।

নিহত ব্যক্তির স্বজন মইনুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন আগে জাহানারা তার ছেলের শ্বশুরবাড়ি নওগাঁ জেলায় বেড়াতে যান। আজ তারা নওগাঁ থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পরে দূরপাল্লার বাস পরিবর্তন করে ওই এলাকায় সাটুরিয়াগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

এ ঘটনায় জাহানারার ছেলের স্ত্রী ও তার দুই বছরের ছেলে আবু বক্করসহ আব্দুর রহিম নামের আরও একজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মরিয়মকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পংগু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি (নং সিলেট জ ১১-০২৬৬) যাত্রীর বদলে কাপড় বোঝাই করে মানিকগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল।

গোলড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করা হলেও এর চালক ও সহযোগী পালিয়ে যায়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ