ভাষার মাসে চলে গেলেন ভাষাসৈনিক মালেক
ভাষাসৈনিক আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ
ভাষার মাসে জাতি হারাল এক ভাষাসৈনিককে। তিনি হলেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার খোন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ (৮৫)। ভাষাসৈনিক ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় মুক্তাগাছার নন্দীবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে খোন্দকার মঞ্জুর মালেক সুদীপ্ত। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় স্থানীয় স্টেডিয়াম মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, খোন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ ছাত্রাবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও রফিক উদ্দিন ভূঁইয়ার কমিটিতে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
১৯৭০-এর নির্বাচনে মুক্তাগাছা আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের তিনি অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন তার সম্পাদনায় গোহাটি থেকে ‘মুক্তি’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হতো। ১৯৯৭ সালে তিনি মুক্তাগাছা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সম্প্রতি তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার পাশাপাশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
মৃত্যুকালে এ ভাষাসৈনিক স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু এমপি ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উবায়দুল হক/এমএসআর