ফরিদপুরে ট্রলি ব্যাগসহ এক নারীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের গাজীর বিলের ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্টসহ কোনোভাবেই যাতে ঘাতকদের পরিচয় বের করা না যায় সেজন্য এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পুলিশ দগ্ধ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে কয়েকজন কৃষক গাজীর বিলের পাশের জমিতে পেঁয়াজের খেতে কাজ করছিলেন। এক কৃষক ধানের নাড়া (খরকুটো) সংগ্রহ করতে গাজীর বিলে এসে দগ্ধ ওই মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন। পরে  ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাখুন্ডা-তালমা আঞ্চলিক সড়কে বিল নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে গাজীর বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই সড়ক থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে ধানখেত পার হয়ে ঘটনাস্থলে যেতে হয়।

এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ , পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, মরদেহটি একজন নারীর। তার বয়স ১৩ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হতে পারে। তাকে হত্যা করে গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে আনুমানিক ২০ থেকে ২২ ইঞ্চি আকারের একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে ওই জায়গায় আনা হয়। এরপর পেট্রল কিংবা কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

জহির হোসেন/আরএআর