চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পান্না বেগম (৫০) নামের এক নারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আহাম্মদ ওরফে ঝড়ু লস্করের বিরুদ্ধে। আহত পান্না বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরে ৭০ থেকে ৮০টা সেলাই করেন।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পান্না বেগমের নিজ মালিকানাধীন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত পান্না বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছি গ্রামের মৃত বাদল মণ্ডলের মেয়ে ও একই এলাকার আহাম্মদ ঝড়ুর প্রথম স্ত্রী।

আহত পান্না বেগমের ভাতিজা বলেন, পান্না বেগম তার দুই ছেলের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন। অন্যদিকে আহাম্মদ দ্বিতীয় বিয়ে করে পান্না বেগমের মালিকানাধীন বাড়িতেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এ জন্য বাড়িতে থাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পান্না বেগমের সঙ্গে স্বামীর বিরোধ চলে আসছে।

জানা যায়, আট থেকে নয় মাস আগে পান্না বেগম নিজ বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় আসেন। মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে আহাম্মদকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে চলে যেতে বলেন পান্না বেগম। এ নিয়ে আবারও তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আহাম্মদ ওরফে ঝড়ু ধারালো অস্ত্র দিয়ে পান্না বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় পান্না বেগমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য টিটন শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়িতে থাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে পান্না বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারই সাবেক স্বামী আহাম্মদ ঝড়ু ওরফে লস্কর। তিনি আরও বলেন, পান্না বেগম তার স্বামী আহাম্মদকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে ডিভোর্সের বৈধ কোনো কাগজপত্র আমরা দেখিনি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পান্না বেগমের অবস্থা শঙ্কামুক্ত কি না এখনই বলা যাচ্ছে না। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের জখম রয়েছে। ক্ষতস্থানগুলোয় ৭০ থেকে ৮০টা সেলাই দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক নারীকে কুপিয়ে জখমের বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আফজালুল হক/এনএ