কঙ্কালের পাশে পড়েছিল স্যান্ডেল

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় নিখোঁজের ২০ দিন পর এক নারীর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার হাঁসাড়গাও এলাকা থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

কঙ্কালের পাশে থাকা স্যান্ডেল, চুলের ব্যান্ড ও জামা দেখে অরিন নামে এক স্কুলছাত্রী শনাক্ত করেন মরদেহটি তার মা কুলসুম বেগমের (৩৫)।

পরিবারের ধারণা ছিল কুলসুম বেগম হয়তো প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে চলে গেছেন। এজন্য তার নিখোঁজের বিষয়টি বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন চেপে যান। কিন্তু কঙ্কাল উদ্ধারের পর পুলিশ জানাল এটি হত্যাকাণ্ড।

স্থানীয়রা জানায়, কুলসুম বেগম হাঁসাড়গাও গ্রামের ইকবাল শেখের স্ত্রী। গত ১৯ ডিসেম্বর ইকবাল পাঁচ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হন। তিনি এখন জেলহাজতে রয়েছেন।

ইকবাল জেলে যাওয়ার পরই কুলসুম তার বাবার বাড়ি উপজেলার রুসদী গ্রামে চলে যান। তার ছেলে অয়ন (২০) মানিকগঞ্জ থাকেন। মেয়ে অরিন শ্রীনগরের বেলতলী জি জে উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

কুলসুম বেগম কবে নিখোঁজ হয়েছে তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছে না। ইকবাল জেলে যাওয়ার পর থেকে কুলসুম বাবারবাড়ি বা শ্বশুরবাড়ির কোথাও নির্দিষ্ট করে থাকত না। ২০ দিন আগে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে এসেছিল কুলসুম।

হাসিনা বেগম, কুলসুম বেগমের ননদ

মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না কুলসুম বেগমের বাবা আলী আকবরও। তবে দুই পরিবারের লোকজনের ধারণা ছিল কুলসুম কারও হাত ধরে চলে গেছে। 

কুলসুম বেগমের ভাশুর মির হোসেন বলেন, ভাতিজা অয়ন ২৯ জানুয়ারি মানিকগঞ্জ থেকে এলাকায় বিয়ের দাওয়াত খেতে আসে। তাকে নিয়ে এনজিওর লোকজন নানার বাড়িতে গিয়ে কুলসুম বেগমের খোঁজ করে। কিন্তু ভাতিজা তার মায়ের নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের জানায়নি।

শ্রীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজাহিদ বলেন, কুলসুমের পরিবারের লোকজন বলছেন, তিনি ২০ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু হাড় ছাড়া তার কিছুই পাওয়া যায়নি।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই নারীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যা মামলা নিয়ে শনিবার সকালে তার কঙ্কাল ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে।

ব.ম শামীম/এএম