মেহেরপুরে জামায়াত নেতাসহ আটক ৩০
মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারীসহ ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাংনীর ভাটপাড়া মসজিদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশের দাবি, তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তাদের চাঁদা আদায়ের রশিদ ও লিফলেট জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, শনিবার রাতে এশার নামাজ শেষে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছেন, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। সাহারবাটি ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারি শেখ সাদিসহ ৩০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত চাদা উত্তোলনের রশিদ ও খাতাপত্র জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন সাহারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সাহারবাটি গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শেখ সাদি (৩০), জামায়াতে ইসলামীর গ্রাম কমিটির সভাপতি হবিবুর রহামানের ছেলে রবিউর ইসলাম (৩০), ভাটপাড়া গ্রামের ফজল করিমের ছেলে এরশাদ আলী, কুলবাড়িয়া গ্রামের নবী বকসের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫৫), ইদ্রিস আলীর ছেলে আলাহাজ আলী (৩৫), ইন্তাজ আলীর ছেলে সোহেল (২৬) রমজান আলীর ছেলে জাহিরুল ইসলাম (৫০) বাবুল রহমানের ছেলে নাসির (৩৫), হোসেন আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৪৮), মকছেদ আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৫৮), তবারক হোসেন (৩৫)।
বিজ্ঞাপন
ফজলুল হকের ছেলে ইরফান আলী (৩০), বছের আলীর ছেলে আ. সাত্তার (৬০), কাবের আলীর ছেলে মকলেছুর রহমান (৩৪), আব্দুর রশিদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৭), আতিয়ার রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান (৩০), আফিল উদ্দীনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩০), ওয়াছার আলীর ছেলে কাউছার আলী (৫৬), কাছাব আলী (৫৯), খবির উদ্দীনের ছেলে তৈয়ব আলী (৩০), ইয়ারুল ইসলামের ছেলে ইউসুব আলী (৩০), সাহাবুদ্দিনের ছেলে রিপন আলী (৩২), মকবুল হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন (৫৬), ও মহিরুদ্দীনের ছেলে সেলিম হোসেন (৩৩)।
এদিকে আটক ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজন জানান, জামায়াত নেতারা মসজিদে নামাজের পর সবাইকে বসে তালিমের ও ইসলামের কথা শোনার আহ্বান করেন। সাধারণ মানুষ তাদের কথা শুনছিলেন। এ সময় পুলিশ জামায়াত কর্মী বলেই তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আকতারুজ্জামান/এনএ