অনলাইনে ভ্যালিডেশন কর্মশালা

প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য না থাকায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা দেওয়া যায় না। তাই ছোট উদ্যোক্তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিতে তাদের ডাটাবেজ তৈরি করতে এসএমই ফাউন্ডেশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) অনলাইনে এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজিত বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে খসড়া কৌশলপত্র চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত ভ্যালিডেশন কর্মশালায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের ইনকিউবেশন সেন্টারে নতুন উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের অবদান আরও সম্প্রসারিত করার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, এসএমই নীতিমালা-২০১৯ এর আওতায় এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থপ্রাপ্তি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বাজারে প্রবেশ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, ব্যবসায় সহযোগিতা এবং তথ্যের সুযোগ নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে। শিল্প প্রতিমন্ত্রী এ সময় অর্থনীতির সম্ভাব্য সকল পর্যায়ে দেশীয় পণ্য আরও অধিক পরিমাণে ব্যবহারের জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন ‘সেকেন্ড স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’র (এসএমইডিপি-২) আওতায় কৌশলপত্রের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরিজিৎ চৌধুরী বলেন, এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ডাটাবেজের অভাব রয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও তাদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এসএমই বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ইনকিউবেশন সেন্টারে উদ্যোক্তারা প্রাথমিক বাধাগুলো অতিক্রম করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন বলেও তিনি জানান।

কর্মশালায় ন্যাশনাল ইনকিউবেশন স্ট্র্যাটেজির ওপর আলোচনা করেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ইনকিউবেশন বিশেষজ্ঞ হুলিয়া টেটিক। তিনি বলেন, এডিবির আর্থিক সহায়তায় ইতোমধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে দুটি পাইলট ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো হবে উদ্যোক্তা উন্নয়নের সুতিকাগার।

এ সময় ইন্টারন্যাশনাল ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট টবি ফিলপট নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলোর জন্য বিশেষ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন। এছাড়াও কর্মশালায় বক্তারা সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনকিউবেশন কেন্দ্র স্থাপনের পরামর্শ দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্লাহ বলেন, বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইনকিউবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ইনকিউবেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এদিকে গ্রামাঞ্চলে এসএমই খাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্টের (বিআইআইডি) সিইও শহীদ উদ্দিন আকবর।

এসআই/এমএইচএস