দেশের দুই পুঁজিবাজারে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন। কোম্পানিটির কোড হবে ইজিপিএল (egpl)।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

লেনদেন চালুর লক্ষ্যে রোববার (১৭ জানুয়ারি) সিডিবিএলের মাধ্যমে লটারিতে বরাদ্দ পাওয়া কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বেনিফিসিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে জমা করে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর কোম্পানির সচিব আসাদুর রহমান। তিনি বলেন, ১৯ জানুয়ারি এনার্জিপ্যাকের লেনদেন শুরু হবে। এর জন্য আজ কোম্পানিটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) পুঁজিবাজারের আওতায় যাওয়া কোম্পানিটির শেয়ার পেতে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি আবেদন জমা পড়ে। ফলে এই বিনিয়োগকারীদের নির্বাচিত করতে গত ৩ জানুয়ারি লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লটারিতে বিজয়ীদের বিও হিসাবে শেয়ার পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৫তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার পেতে আবেদন নেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতের কোম্পানিটির দুই কোটি এক লাখ ৪৬ হাজার ৮০০টি সাধারণ শেয়ার পেতে ক্ষতিগ্রস্ত, এনআরবি এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মোট ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৭টি আবেদন জমা পড়ে। যা শেয়ারের তুলনায় ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি।

কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দুই কোটি এক লাখ ৪৬ হাজার ৮০০টি সাধারণ শেয়ার ৩১ টাকা মূল্যে (প্রান্ত সীমা থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) ইস্যু করবে। কোম্পানিটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৬২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা উত্তোলন করবে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৬২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে কোম্পানিটির আইপিওতে ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩১ টাকা মূল্যে (প্রান্তসীমা থেকে ১০ শতাংশ বাট্টায়) কোম্পানির শেয়ার কিনবে।

গত বছরের ২১ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৫তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।

এরপর বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারের কাট অব প্রাইস ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এ দরে দুই কোটি এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৬টি ইস্যু করা হবে। তাদের কাছে থেকে উত্তোলন করা হবে ৭০ কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৮১০ টাকা।

এই টাকা উত্তোলন করে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচখাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ১৫ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ২০ টাকায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে তিন দশমিক ১৩ টাকা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এমআই/এফআর