বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক
তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইবিএলের সিনিয়র কর্মকর্তারা
আকর্ষণীয় সুবিধা দেওয়ার ফলে তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।
রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন ব্যাংকের (ইবিএল) প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান। বুধবার (২০ জানুয়ারি) ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার রাষ্ট্রদূতকে ইস্টার্ন ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ করে করোনা মহামারিকালে ব্যাংকটির ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত করেন। বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইবিএল যে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে তাও তিনি তুলে ধরেন।
ইফতেখার বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে তুরস্কের সঙ্গে ইস্টার্ন ব্যাংকের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্কের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আমরা করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন করেছি। তুর্কি ব্যাংক থেকে ইস্যুকরা এলসি’র বিপরীতে আমাদের ব্যাংক অ্যাড-কনফার্মেশন ও অর্থ দিয়ে থাকে। গ্যারান্টি ব্যবসায় তুরস্কের ব্যাংকগুলো আমাদের পার্টনার। তুর্কি ব্যাংকগুলোর কাউন্টার গ্যারান্টির বিপরীতে আমরা লোকাল গ্যারান্টি দিচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে এবং নতুন উচ্চতায় স্থাপন করতে চান বলে জানান।
বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান নক্ষত্র হিসেবে উল্লেখ করে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে এবং দেশটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
তিনি বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের ডাইভার্সিফিকেশনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণও বৃদ্ধি করতে চায়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্ক ওষুধ প্রস্তুত শিল্প, আইটি, কৃষিশিল্প, হালকা প্রকৌশল, সেবা খাতে, পর্যটন ও স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার উপায় খুঁজছে। দ্রুত এফবিসিসিআই এবং তুরস্কের ফরেন ইকোনোমিক রিলেশন্স বোর্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি জানান।
বর্তমানে তুরস্ক-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ প্রতি বছর তুরস্কে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পাট রপ্তানি করে।
অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, শীর্ষস্থানীয় তুর্কি প্রতিষ্ঠান আইগাজিস চট্টগ্রামের এলপিজি সেক্টরে বড় আকারের বিনিয়োগ নিয়ে আসছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইবিএল উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সাহিন, রিটেইল ও এসএমই ব্যাংকিং বিভাগ প্রধান এম. খোরশেদ আনোয়ার, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ও অফশোর ব্যাংকিং প্রধান মো. ওবায়দুল ইসলাম এবং কমিউনিকেশন্স ও এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান জিয়াউল করিম।
এসআই/এফআর