২০ বিনিয়োগকারীকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা জরিমানা
বিএসইসি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির শেয়ারের কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ২০ বিনিয়োগকারীকে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক ও নর্দান জুট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির শেয়ারে লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৭ (ই) ও (ভি) ভঙ্গ (অথাৎ শেয়ার কারসাজির) করেছে। এ কারণে কমিশন এ বিনিয়োগকারীদের জরিমানা করেছে।
বিজ্ঞাপন
কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কারসাজির দায়ে জরিমানা হওয়া বিনিয়োগকারীরা হলেন- আমানত উল্লাহ, সেতারা বেগম, প্রশান্ত কুমার হালদার, সমির রঞ্জন পাল, শিউলি পাল, চিত্ত হারান দত্ত, সালেক আহমেদ সিদ্দকী, অমল কৃষ্ণ দাস, পরিমল চন্দ্র পাল, রিপন শেখ, মল্লিক আবু বকর, তোফাজ্জল হোসেন ও বিধান মিস্ত্রী, হাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও সন্দ্বীপ করপোরেশন।
বিজ্ঞাপন
বিনিয়োগকারীদের মধ্য আমানত উল্লাহকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি ও তার তিন সহযোগী- প্রশান্ত কুমার হালদার, সেতারা বেগম, সন্দ্বীপ করপোরেশন ও হাল ইন্ডাস্ট্রিজ নর্দার্ন জুটের শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে সিকিউউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১৭ (ই)(ভি) ধারা লঙ্ঘন করেছেন।
ফলে কমিশন আমানত উল্লাহর সহযোগীদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ৮৫ লাখ টাকা, সন্দ্বীপ করপোরেশনকে ৬০ লাখ টাকা, আর ব্যক্তি বিনিয়োগকারী প্রশান্ত কুমার হালদারকে ২৫ লাখ টাকা এবং সেতারা বেগমকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে।
অন্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শিউলি পালকে ৫০ লাখ টাকা, তোফাজ্জল হোসেনকে ৪০ লাখ টাকা, সমির রঞ্জন পাল, পরিমল চন্দ্র পাল ও রিপন শেখকে ২০ লাখ টাকা করে, চিত্ত হারান দত্তকে ১২ লাখ টাকা, মল্লিক আবু বকরকে ১০ লাখ টাকা, সালেক আহমেদ সিদ্দিকীকে ৭ লাখ টাকা, অমল কৃষ্ণ দাসকে ৭ লাখ টাকা, বিধান মিস্ত্রীকে ৫ লাখ টাকা, জেমস মার্টিন দাসক ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ড. জে এম মুর্শিদ, নুরুল ইসলাম কামরান এবং মনজিলা নসরিন ইসলামকেও জরিমানা করা হয়।
এমআই/এসএম