‘দুই হাজার ৯১৭ মেগাওয়াটের ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছি’
সংসদে বক্তব্য রাখছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল/ ফাইল ছবি
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এ কেন্দ্রগুলো থেকে ২ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতের সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এজন্য সবাইকে মানসম্মত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২০ জানুয়ারি) জতীয় সংসদে বাজেট ২০২০-২১: প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পায়রা, মহেশখালী ও মাতারবাড়ি এলাকাকে পাওয়ার হাব হিসেবে চিহ্নিত করে আমরা বিদ্যুৎ খাতে বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ১৪ হাজার ২০২ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণ করা হবে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যেই ২ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। বাকি ১১ হাজার ২৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে। পুরাতন ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র সংরক্ষণ, মেরামত ও ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে এখন দেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতায়ন সুবিধার আওতায় এসেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২ লাখ এবং চট্টগ্রাম এলাকায় ৬০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। জ্বালানি চাহিদা মেটানোর লক্ষে নতুন গ্যাস ও তেল ক্ষেত্র অনুসন্ধানের কাজ অব্যাহত আছে। বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে নতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, জনবল নিয়োগ, কারিগরি ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইষ্টার্ন রিফাইনারির পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২য় ইউনিট স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়া দেশের দীর্ঘমেয়াদি, নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ এলএনজি সরবরাহে সরকার কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
এসআর/এসআরএস