আরও চার হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি
আরও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে চার হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি কুমিল্লার মেসার্স লিয়া ট্রেডিংকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চাল আমদানির এ শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিক ই-মেইলে জানাতে হবে। এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (আমদানির অনুমোদন) ইস্যু করা যাবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকদফায় এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে আট লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিল সরকার।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি ১০ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ৪ জানুয়ারি আরও ১৯ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, গত ৬ জানুয়ারি ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ টন এবং ১০ জানুয়ারি ৬৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া গত ১৩ জানুয়ারি ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ছয় হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
জানা গেছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বেসরকারিভাবে চাল আমদানি অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া সরকারিভাবে চার লাখ মেট্রিক টন, জিটুজি পদ্ধতিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে।
এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, বেসরকারিভাবে কত পরিমাণ চাল আমদানি করা হবে, তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে যতদিন না বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে ততদিন চাল আমদানি চলবে।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের পাশাপাশি কৃষকদের বিষয়ও আমাদের মাথায় রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কখন চাল আমদানি বন্ধ হবে।
এসএইচআর/এফআর