শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ই-কমার্সের এ যুগে শিল্পখাতে বিপ্লব আনতে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি এর বৈচিত্র্যতা এনে তা ডিজিটাল প্লাটফর্মে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, করোনার মহামারির সময় বড় শিল্প কারখানা বন্ধ থাকলেও ছোট, মাঝারি এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ থেমে থাকেনি বলেই দেশের অর্থনীতি এখনও সচল রয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের আয়োজনে হাজার উদ্যোক্তার ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘এসএমই শপ বাংলাদেশ’ এর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সরদার শামস্ আল মামুনের (চাষি মামুন) সভাপতিত্বে মতিঝিলের বিসিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এবং ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তারা করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যাতে নির্বিঘ্নে পেতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা পর্যায়ক্রমে করেছি। কোভিড-১৯ এর মধ্যেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় এবং সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। জেলা, উপজেলা থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি  উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

মোশতাক হাসান বলেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোন্নয়নে সরকার আমাদের যে ভিশন দিয়েছে, তা অর্জনে বিসিক এবং এসএমই উদ্যোক্তা ও ফোরামকে একত্রে কাজ করতে হবে। বিসিকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের উদ্যোক্তাদের সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।

সরদার শামস্ আল মামুন বলেন, সারাদেশে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে অর্থনীতির মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসাই বাংলাদেশ এসএমই ফোরামের প্রধান লক্ষ্য। কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের মধ্যেও নতুন এ ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘এসএমই শপ বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে বাংলাদেশ এসএমই ফোরাম কাজ করে যাচ্ছে।

এসআই/এসএম