ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধার মেয়াদ না বাড়ানোর দাবি
অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় দেওয়া ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধার মেয়াদ আর না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।আগামীতে মেয়াদ বাড়ানো হলে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়ে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে বলে মত দিয়েছেন ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহীরা। কেননা মেয়াদ বাড়াতে থাকলে নতুন করে ঋণ পরিশোধ না করতে একটি শ্রেণী গড়ে উঠবে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডিদের নিয়ে ভার্চুয়ালি আয়োজিত ব্যাংকার্স সভায় এমন বক্তব্য উঠে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যাংকগুলোর এমডি ছাড়াও, ডেপুটি গভর্নর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা তার ঋণের কিস্তি শোধ না করলেও তাকে খেলাপির তালিকায় দেখানো যাবে না এমন নির্দেশনা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
প্রথমে এ সুবিধা গত বছরের জুন মাস পর্যন্ত দেয়া হলেও পরে দুই দফা তিন মাস করে সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এখন একটি পক্ষ এই সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে বলা হয়, ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা ছাড়াও সরকারের প্রণোদনার আওতায় সর্বশেষ বর্ধিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়। আগামী মার্চের মধ্যে সিএমএসএমই, কৃষিসহ সব প্রণোদনার ঋণ বিতরণ শেষ করতে বলা হয়। সভায় আরও বলা হয়, অনেক ব্যাংক সময় মতো স্বীকৃতি বিলের দেনা পরিশোধ করছে না। এধরনের ঘটনা ব্যাংকিং শৃঙ্খলা ও সুনাম নষ্ট করছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৯টি ব্যাংকের অপরিশোধিত স্বীকৃতি বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার সমপরিমাণ টাকা। এসব বিল দ্রুত পরিশোধের পাশাপাশি আগামীতে কোনো বিল বকেয়া না রেখে মেয়াদপূর্তির সঙ্গে সঙ্গে তা পরিশোধ করতে বলা হয়।
ব্যাংকাররা বলেন, কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো আগ্রহ দেখালেও অনেক ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার মতো উপযুক্ত ব্যক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া শুরুর দিকে এ খাতে ঋণ বিতরণে কিছু কঠিন শর্ত ছিল। তবে সেসব শর্ত শিথিল করায় আগামী মার্চের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এছাড়া বিআইবিএমের ১৫ তলা ভবন ও রাজশাহী ব্যাংকার্স ক্লাবের স্থায়ী অফিসের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেন।
এসআই/ওএফ