পরিকল্পনা অনুযায়ী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিশ্চিত করার তা‌গিদ দি‌য়ে‌ছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ভার্চুয়াল সভায় শিল্পমন্ত্রী এ তাগিদ দেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে উপ‌স্থিত ছিলেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৭টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৩টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৪০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে ১ হাজার ২৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ২ হাজার ৯৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ৯২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রগতি ২৭.১৫ শতাংশ যা, জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতির চেয়ে (জাতীয় পর্যায়ের অগ্রগতি ২৩.৮৯ শতাংশ) বেশি।  

সভায় আরও জানানো হয়, সারের সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য ১৩ বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে দু’টি বাফার গোডাউন হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গাইবান্ধা, শেরপুর ও যশোরের বাফার গোডাউন নির্মাণের কাজ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে। এ সময় লোকবল বাড়িয়ে জুনের মধ্যে নির্মাণাধীন অবশিষ্ট বাফার গোডাউনগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা জন্য গঠিত ৭টি মনিটরিং টিমকে প্রতিমাসে নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন ও নির্দেশনা দেওয়া হয়।  

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, কেউ কৃত্রিমভাবে সারের সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের কোথাও অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করতে পারে সে বিষয়ে বিসিআইসিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী। 

এ সময় তিনি নির্মাণাধীন ১৩টি বাফার গোডাউনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেন। প্রতিমন্ত্রী চিনিকল স্থাপনে আগ্রহী বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নতুন নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করে বিএসটিআইয়ের কার্যক্রমকে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এসব যন্ত্রপাতির স্থাপনের জন্য ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের পরামর্শ দেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের মান ও আর্থিক বিষয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এসআই/জেডএস