জানুয়ারি-মার্চ সমাপ্ত প্রান্তিকে অনিরিক্ষীত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিগুলো এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

কোম্পানিগুলো হলো- কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আইটি কনসালটেন্টস লিমিটেড, ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড, স্টাইলক্রাফট লিমিটেড ও ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেড।

ডিএসইর তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২১) কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯ পয়সা। অর্থাৎ করোনার এই সময়ে মুনাফা বেড়েছে ৬ পয়সা বা ৬৭ শতাংশ। তাতে ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ২৮ পয়সা।

চলতি বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০-মার্চ ২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৭০ পয়সা।

মুনাফা হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্য প্রযুক্তিখাতের কোম্পানি আইটি কনসালটেন্টস লিমিটেডের। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৩৮ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ২৯ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১০ পয়সা। গত নয় মাসে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ৯৯ পয়সা।

তবে এই সময়ে কিছুটা ব্যবসা কমেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্যখাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের। তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ১০ পয়সা। অর্থাৎ ১ পয়সা কমেছে। আর চলতি হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই ২০-মার্চ ২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৩ পয়সা।

অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় মুনাফা কমেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি স্টাইলক্রাফট লিমিটেডের। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছিল ৬৯ পয়সা (রিস্টেটেড)।

আর গত তিন প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেড। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা।

কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২০-মার্চ ২১) শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৫১ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৪ টাকা ৫৩ পয়সা

এমআই/জেডএস