বিদেশি সিনেমা মুক্তিতে একমত ৩ সংগঠন
দেশের সিনেমা হলগুলোতে সিনেমা সংকট অনেকদিন। বছরে যে কয়টি সিনেমা মুক্তি পায় তা দিয়ে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে হল মালিকদের। এবছর করোনার কারণে এই সংকট আরো বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ হলে নতুন সিনেমা নেই। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে অনেক হল।
কয়েকদিন আগে বিদেশি সিনেমা মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় হল মালিক সমিতি। নভেম্বরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে এই প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ হল মালিক সমিতি। তাদের এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে চলচ্চিত্রের আরো তিনটি সংগঠন।
বিজ্ঞাপন
হিন্দি সিনেমা প্রদর্শনের পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের নীতিমালা সহজ করারও দাবি জানিয়েছে সংগঠন তিনটি।
গত ৩০ ডিসেম্বর এক রেস্টুরেন্টে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থি ছিলেন তিন সংগঠনের নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান, প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি মির্জা আবদুল খালেক, হল মালিক ও প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন এবং প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়াল হোসেন উজ্জ্বল।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে সবাই এই বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। হল মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘বছরে কয়টি সিনেমা মুক্তি পায় সেটি আমাদের জানা। এরমধ্যে সব সিনেমা হলে চালানো মত না। এমন অবস্থায় হল বাঁচিয়ে রাখতে হলে আমাদের বিকল্প চিন্তা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি সিনেমা মুক্তি দিলে দর্শক ফেরানো সম্ভব। এছাড়া বিদেশি সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমাদের সিনেমার সংখ্যাও বাড়বে।'
প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির দেশের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। নতুন সিনেমা সংকট তৈরি হয়েছে। এতে হলগুলো ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চলচ্চিত্রের তিন সংগঠন বিদেশি সিনেমা আমদানি করে হলে চালাতে একমত হয়েছি।’
পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রমান গুলজার বলেন, ‘সিনেমা হলে এমন সংকটময় সময়ে বিদেশি সিনেমা মুক্তিতে একমত আমি। তবে আমাদের সবসময় আমাদের ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ দেখতে হবে।’
এমআরএম