চীনে অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক গ্রেপ্তার
অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক চেং লেই
কয়েক মাস ধরে বন্দি করে রাখার পর অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক চেং লেইকে গ্রেপ্তার করেছে চীন। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য বিদেশে পাচারের অভিযোগ এনেছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের তরফ থেকে লেইকে গেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
বন্দি হওয়ার আগে চেং লেই চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন-এর টিভি উপস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চেং লেইকে গত আগস্টে আটক করা হয়। এরপর গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আটক হওয়ার পর থেকে চেং লেইকে নিয়ে বারবার বেইজিংকে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে ক্যানবেরা। তবে উদ্বেগ সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করলো চীন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেইন বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে ন্যায়বিচার, প্রক্রিয়াগত ন্যায্যতা এবং মানবিক আচরণের মৌলিক মান পূরণ হবে বলে প্রত্যাশা করছি আমরা। এই কঠিন সময়ে চেং লেই ও তার পরিবারের পাশে থাকবো আমরা।
বিজ্ঞাপন
আরও যা জানা যাচ্ছে
চেং লেই চীনা বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি বেইজিংয়ে কর্মরত ছিলেন। দুই সন্তানসহ তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা।
গত আগস্টে আচমকা টেলিভিশন থেকে তিনি অদৃশ্য হয়ে যান। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। তার নিয়োগকর্তা, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত ইংরেজি ভাষার টিভি চ্যানেল সিজিটিএন চেংয়ের প্রোফাইল ও তার কাজের ওয়েবসাইটগুলো ডিলিট করে দেয়।
চীন অবশেষে জানায় জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে তাকে অজানা স্থানে ‘আবাসিক নজরদারির’ অধীনে আটকে রাখা হয়েছে। চেংয়ের পরিবার জানায়, তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা নেই।
তার পরিবার আরও জানায় যে, চেংকে নানাভাবে অনেকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাকে একটি নির্জন প্রকোষ্ঠে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছে বলেও জানায় তার পরিবার।
দ্বিপাক্ষিক কনস্যুলার চুক্তির কারণে মাসে একবার সরকারের প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে পরে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এবার চেং লেইকে গ্রেপ্তারের খবর জানানো হল।
এএস