ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে তুষারধসের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন, এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ১৭০ জন। তবে বিদ্যুৎপ্রকল্পের কাজ করার সময় সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর ১৬ শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর উদ্ধারের পর এক শ্রমিকের উচ্ছ্বাসের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

রোববার সকালে নন্দাদেবী হিমবাহের একটা অংশ হঠাৎই ভেঙে গিয়ে পাহাড় বেয়ে নেমে আসে। যার জেরে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে আচমকাই জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। ধৌলিগঙ্গা ও অলকানন্দা নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব কিছু ভেসে যায় পানির স্রোতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবনের কাছে রোববার একটি বিদ্যুৎপ্রকল্পের কাজ করছিলেন ১৬ জন শ্রমিক। তারা সুড়ঙ্গের মধ্যে কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে হিমবাহ ভেঙে তুষারপাতের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সেই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ভেতরে আটকা পড়া ওই শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। পরে তাদের খোঁজে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ইন্দো-তিব্বেতান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) সদস্যরা।

কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় তারা একে একে সবাইকেই জীবিত উদ্ধার করেন। সুড়ঙ্গের সরু মুখ দিয়ে আবারও উঠে আসেন পৃথিবীর আলোতে। তবে জীবিত ফিরে এসে শ্রমিকদের একজন তার উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেনি। সুড়ঙ্গ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেই উচ্ছ্বাসে দুই হাত প্রসারিত করেন তিনি। তখনও তিনি সুড়ঙ্গের ঠিক মুখেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার সেই উচ্ছ্বাসের ভিডিও এখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এর আগে রোববারের ওই জলোচ্ছাসের পর ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) সঙ্গে উদ্ধার কাজে নামে ইন্দো-তিব্বেতান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) সদস্যরাও। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ভারতীয় বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।

সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস

টিএম